রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

‘সরকারকেই সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে’

জাকারিয়া পলাশ: নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমান। তিনি বলেছেন, সঙ্কট সমাধানে সরকারকে সংলাপের উদ্যোক্তা হতে হবে। একই সঙ্গে সব ধরনের নেতিবাচক মানসিকতা পরিহার করে সংলাপে বসতে হবে। মানবজমিন অনলাইনকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে অতীত সংলাপ অভিজ্ঞতা সুখকর নয়, এমন অবস্থায় সংলাপ নিয়ে আশাবাদী হওয়ার কারণ কি? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অতীত এবং বর্তমানের প্রেক্ষিত একরকম না। আমরা সামনে তাকাতে চাই। অতীত ভুলতে চাই। বর্তমানের রাজনৈতিক সঙ্কটটি বুঝতে হবে। বিরোধী দলীয় নেত্রী, বেগম খালেদা জিয়া বলে দিয়েছেন তত্ত্বাবধাক সরকার ছাড়া কোন বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ অনঢ় দলীয় সরকারের অবস্থানে। সুশীল সমাজ এবং দাতাগোষ্ঠী বলছে একটা ডায়ালগের প্রয়োজনীতার কথা। আবার সৈয়দ আাশরাফ বললেন ভেতরে ভেতরে সংলাপ চলছে। বিএনপি আবার এর প্রতিবাদ করেছে। একে ষড়যন্ত্র বলেছে। এক্ষেত্রে একটি বিষয় স্পষ্ট হওয়া দরকার। সংলাপ কিন্তু কোন গোপন বিষয় নয়। এটা ওপেন ডায়ালগ হতে হবে। এবং সরকারকেই সে উদ্যোগ নিতে হবে।
ডায়ালগের পরিবেশ কি আছে? তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খানের ফর্মূলাকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এ অবস্থায় সরকার আর বিরোধীদল এক মঞ্চে কিভাবে আসবে? এমন প্রশ্নে ড. তারেক শামসুর রেহমান বলেন, এভাবে কোন প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করাটা ঠিক হয়নি। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী এমন করলে তো হবে না। তিনি সবার অভিভাবক। তাকে সবার কথা শুনতে হবে। সবার প্রতি সহনশীলতা দেখিয়ে আলোচনার পরিবেশটা তৈরি করা। সেটা তৈরিতে সরকার বিশেষ করে প্রধানন্ত্রীকেই উদ্যোগী হতে হবে। এটা অবশ্যই ঠিক যে, ফর্মূলা প্রত্যাখ্যান হোক বা না হোক দেশের সব সংকটকালেই বুদ্ধিজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ এবং নিঃস্বার্থ ভূমিকা রেখেছে। সে চেষ্টা অব্যহত থাকবে বলে আমি মনে করি।
Daily MANOBJOMIN interview
03.01.2013

0 comments:

Post a Comment