সরকার একটি সুনির্দিষ্ট ফর্মুলা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবে, যারা নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে কাজ করবে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে শেখ হাসিনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে ‘উপদেষ্টা’ হিসেবে সহায়তা করবেন ১০ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্য, এর মাঝে ৫ জন আওয়ামী লীগের, ৩ জন বিএনপির, ১ জন জাতীয় পার্টির, ১ জন বাম দলের। এখানে জামায়াত কিংবা জাতীয় পার্টির (নাজিউর) কোনো সদস্য নেই। ব্যাপারটা তাহলে কী দাঁড়াল? ১১ জন সদস্যের মাঝে ৮ জন মহাজোটের। আর ৩ জন বিএনপির। এই ৩ জন দিয়ে বিএনপি কী করবে? তাহলে কী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নামে সব সিদ্ধান্ত বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেয়া হবে না? বিএনপি এই সিদ্ধান্ত কেন মানবে?
প্রধানমন্ত্রী একটা কথা বলেন। প্রতিটি গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় আমাদের দেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে। তিনি মিথ্যা বলেননি। পশ্চিমা গণতান্ত্রিক সমাজে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীকে রেখেই নির্বাচন হয়। জার্মানি বা ব্রিটেন কিংবা ভারতের দৃষ্টান্ত আমাদের এ কথাই বলে। কিন্তু সেইসব দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সাথে কী আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি মেলানো যাবে? আমাদের দেশে যেভাবে ভোট কারচুপি হয়, ব্রিটেন বা জার্মানিতে কী এটা সম্ভব? এই দক্ষিণ এশিয়াতেই পাকিস্তান একটি তত্ত্বাবধাযক সরকারের আওতায় নির্বাচন সম্পন্ন করলো। নেপালে জুন মাসে নির্বাচন সম্পন্ন হবে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। বুলগেরিয়াতেও তত্ত্বাবধাযক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে যাচ্ছে এই জুনে। সুতরাং ব্যতিক্রম আছে, আমাদের এ অঞ্চলেই আছে। এখন প্রধানমন্ত্রী যদি ‘অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থেকে যান, তাতে করে আমাদের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি, তাতে প্রশাসন প্রভাবান্বিত হয়ে যাবে। গেল চার বছরে প্রশাসনে যেভাবে দলীয়করণ হয়েছে এবং শীর্ষ আমলারা যেভাবে ‘দলীয় আনুগত্য’ প্রদর্শন করেছেন, তাতে করে প্রশাসন পরিপূর্ণভাবে ‘অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী’ নির্ভর হয়ে পড়বে। এমনকি নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর উপস্থিতির যে ট্রেডিশন, তাতেও ব্যত্যয় ঘটেছে। আরপিওতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি থাকছে না। আরও একটি বিষয়, যা বেশ হাস্যকর। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদকাল শেষ হবার আগেই (৩ মাস আগে) নির্বাচন হতে হবে। এর অর্থ কী নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের রেখেই নির্বাচন হবে? এই ধারায় যদি পরিবর্তন আনা না হয়, তাহলে নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কেননা, ক্ষমতাসীন এমপিরা নির্বাচনে প্রভাব খাটাবেন আর স্থানীয় প্রশাসন হয়ে পড়বে অকার্যকর। তাই ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ এর ফর্মুলা কাজ করবে না। এখানে একটা ঐকমত্যে পৌঁছা দরকার। টিআইবি একটি ফর্মুলা দিয়েছে। যদিও টিআইবির ফর্মুলাতে বেশ ত্রুটি রয়েছে। টিআইবি অনেকটা দায়সারা গোছের একটি ফর্মুলা উপস্থাপন করেছে। এ ব্যাপারে তাদের আরও কাজ করার সুযোগ ছিল। টিআইবির বাইরে বিভিন্ন সময়ে সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ফর্মুলা উপস্থাপন করা হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল একটাÑ সকল দলের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করা। কিন্তু রাজনীতির বর্তমান যে বাস্তবতা, তাতে সকল সম্ভাবনা তিরোহিত হয়ে গেল। জাতিসংঘের মহাসচিব একটি চিঠি দিয়ে দু’দলকে সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তার চিঠির সূত্র ধরেই তারানকো বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সকল সম্ভাবনার ‘মৃত্যু’ ঘটেছে। কোনো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। সংলাপের সম্ভাবনা ক্ষীণতর হয়ে পড়েছে। সরকার যদি তার একক সিদ্ধান্তে এককভাবে নির্বাচন করে, সেটাও তার জন্য সুখের হবে না। আমাদের দেশে এককভাবে নির্বাচন করার কোনো সুখকর অভিজ্ঞতা নেই। এরশাদীয় জমানায় ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে দুটো নির্বাচন হয়েছিল। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত অংশ নিলেও শুধু বিএনপির অংশ না নেয়ার কারণে সেই সংসদ পাঁচ বছর স্থায়ী হয়নি। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল ১৯৮৮ ও ১৯৯৬ সালে। ১৯৮৮ সালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ অংশ না নেয়ায় চতুর্থ ও ষষ্ঠ সংসদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা ছিল না। ২০১৩ সালে এসে বাংলাদেশ পুনরায় একই ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছি কি না, সেটাই দেখার বিষয় এখন। তবে বলতেই হবে সরকারের দায়দায়িত্ব এখানে অনেক বেশি। শুধুমাত্র সংবিধানের দোহাই দিয়ে সরকার যদি ‘গো ধরে থাকে, তাতে জনসমর্থন পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। তোফায়েল আহমদের মতো সিনিয়র রাজনীতিবিদরাও মনে করছেন আদৌ সংলাপ হবে না। কেননা সরকার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে তাই মনে হওয়া স্বাভাবিক এবং এটাই বাস্তবতা। সরকারের কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে না তারা সংলাপের ব্যাপারে সত্যি সত্যিই আন্তরিক। একদিকে সংলাপের কথা বলে জনগণ তথা বিদেশী দাতাদের দেখানো যে তারা সংলাপ করতে চান, অন্যদিকে বিরোধী মিডিয়া বন্ধ করে দিয়ে সরকার ধীরে ধীরে দেশটিকে একদলীয় রাজনীতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা বারবার বলে আসছি, গণতন্ত্রের স্বার্থে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে একটা আস্থার সম্পর্ক থাকা দরকার, যাকে আমরা রাজনীতি বিজ্ঞানের ভাষায় বলি ‘কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস’ (সিবিএম)। এই সিবিএম এর বড় অভাব দেশটিতে। সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে প্রায় প্রতিদিনই দু’ দলের মাঝে একটা আস্থার সম্পর্কের কথা বললেও বিষয়টি সরকারি দলের নেতানেত্রীদের মাঝে আদৌ কখনও বড় হয়ে দেখা দেয়নি। যে ভাষায় নেতানেত্রীরা বিরোধী দলের নেতাদের আক্রমণ করেন, তা গণতন্ত্রের ভাষা নয়। সম্প্রতি পাকিস্তানে একটা সাধারণ নির্বাচন হয়ে গেল। সেখানেও দু’টি বড় দল, মুসলিম লীগ (নেওয়াজ) ও পিপলস পার্টির (বিলওয়ার ভুট্টো) মাঝে দ্বন্দ্ব, ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেশি। কিন্তু খুব সূক্ষ্মভাবে লক্ষ্য করে দেখেছি তারা কখনও নগ্ন ও অশ্লীল ভাষায় অপরপক্ষকে আক্রমণ করে কোনো বক্তব্য রাখেননি। পাকিস্তানের অনেক জিনিস আমাদের অপছন্দের। তালেবানদের হুমকির মুখে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ আজ হুমকির মুখে। তারপরও ব্যাপক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে পাকিস্তান প্রমাণ করেছে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ওপর আস্থাশীল, যারা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতি দিনে দিনে যেভাবে অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে, তাতে আমাদের মাঝে নানা শঙ্কার জন্ম দিয়েছে। ইতোমধ্যে হেফাজতে ইসলামের উত্থান ও ৫ মের শাপলা চত্বরের নারকীয় ঘটনাবলীর পর সারা বিশ্বের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের দিকে। বিদেশী পত্র-পত্রিকায় বাংলাদেশে ‘সহিংসতা, নিরীহ জনতার ওপর গুলিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে! যে মডারেট মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এতদিন পরিচিতি ছিল সেই পরিচয় এখন নষ্ট হতে বসেছে। শাপলা চত্বরে হতাহতের ঘটনা নিয়েও বিদেশে যেসব প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে, তাতে সুসংবাদ কিছু ছিল না। এখন এমন একটা ধারণার জন্ম হয়েছে যে, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে একটি ‘গৃহযুদ্ধের’ দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গত ৫ মে মার্কিন কংগ্রেসের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটির অন্যতম সদস্য এবং কংগ্রেসের বাংলাদেশ ককাসের সদস্য কংগ্রেস উইম্যান ইভেট ডি কার্ক বাংলাদেশী মার্কিন বার্তা সংস্থা এনাকে বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি যাতে গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত না হয়, সেজন্য স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও কংগ্রেস একসাথে কাজ করছে (মানবজমিন ৭ মে)। এ ধরনের বক্তব্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তির জন্য কোনো ভালো খবর নয়। রানা প্লাজায় এগারশ’র ওপর মানুষের মৃত্যুর পর আমাদের পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত সবাই। বিদেশে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সস্তায় পাওয়া তৈরি পোশাক যে মৃত্যুর কারণ, এই মনোভাব এখন বিদেশে সাধারণ মানুষের মাঝে জন্ম হয়েছে। তাদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের ছবি বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকাতেও ছাপা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প যে বিধি নিষেধের আওতায় আসছে, তার পরিণতি হিসেবে পোশাক রফতানিতে মন্দাভাব আসতে পারে। এমনি এক পরিস্থিতিতে বিরোধী দলের সাথে একটি সমঝোতা যেখানে অত্যন্ত জরুরি ছিল, সেই সমঝোতার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আগামী দিনের বাংলাদেশকে নিয়ে তাই শঙ্কিত আমরা সবাই। জাতিসংঘের এক ধরনের ‘হস্তক্ষেপ’ কিংবা সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ কোনো কোনো মহল থেকে প্রশংসিত হলেও এটা কী জাতিসংঘকে একরকম বাধ্য করা হলো না? বিদেশীরা কেন আমাদের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে। এর মধ্যে দিয়ে আমাদের রাজনীতিবিদরা বিদেশীদের কাছে অত্যন্ত ‘ছোট’ হয়ে গেলেন। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করে যে সম্মান অর্জন করেছিল, আজ খোদ নিজ দেশেই এই শান্তি হুমকির মুখে। সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় যে অন্ধকার, সেই অন্ধকার দীর্ঘস্থায়ী হবে কী না বলতে পারছি না। কিন্তু আলোর একটি ুদ্র রেখাও আমাদের নজরে আসছে না! আমাদের হতাশার জায়গাটাও বাড়ছে। গত ১৯ মে সৈয়দ আশরাফ যে বক্তব্য রেখেছেন, তা ঢাক-ঢোল বাজিয়ে প্রস্তাব করা হলেও, এটাও এক ধরনের বিভ্রান্তি। আশরাফ বলেছেন, সংলাপে নির্বাচনকালীন সময়ে কে সরকার প্রধান হবেন, সে ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে। এটা যে একটা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ও লোক দেখানো, সে ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই। কেননা, প্রতিদিন যেখানে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা বলেছেন, শেখ হাসিনাকে রেখেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হবে, সেখানে সৈয়দ আশরাফের বক্তব্য সময় ক্ষেপণ করা ছাড়া আর কিছুই নয়। মূল বিষয় হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের মানসিকতা ত্যাগ করতে পারেননি। তাদের কথাবার্তা শুনে সেই পুরনো একটি বহুল প্রচারিত বাক্যের কথা মনে হয়ে গেলÑ ‘বিচার মানি, কিন্তু তালগাছটা আমার’। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সংলাপ চাচ্ছে। কিন্তু শেখ হাসিনা হবেন নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান। আসলে আওয়ামী লীগের আন্তরিকতার বড় অভাব রয়েছে। গত ১৯ জুন সরকার ঢাকায় দিনের বেলায় এক মাসের জন্য, আর রাতের বেলা অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবেশ, জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। এটা গণতন্ত্রের পরিপন্থী। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭নং অনুচ্ছেদে সভা-সমাবেশ করার অধিকার স্বীকৃত। তাহলে সরকার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে আমাদের কী ম্যাসেজ দিতে যাচ্ছে? তাদের কর্মকাণ্ড কী একদলীয় ধারণাকে সমর্থন করে না। খোদ মহাজোট সরকারের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেননও এর সমালোচনা করেছেন।
গত ১৯ মে কয়েকজন বিদেশী রাষ্ট্রদূত বেগম জিয়ার সাথে দেখা করেছেন। তারা সংলাপের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু সংলাপ হবে কীভাবে? সরকার এখনও স্পষ্ট করেনি যে, নির্বাচনকালীন সময়ে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হবেন না। এমনকি তারা কোনো চিঠিও দেয়নি। বিএনপির মতো একটি বড় দল সংলাপে কেন যাবে, যদি আলোচ্যসূচি স্পষ্ট না থাকে। সরকার পরিস্থিতির গুরুত্ব কতটুকু অনুভব করে আমি বলতে পারবো না। কিন্তু ইতিহাস বলে জনমতকে উপেক্ষা করে কেউ কোনোদিন লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। দেয়ালের লিখন থেকে আওয়ামী লীগ যদি কিছু না শেখে, তাহলে আওয়ামী লীগের জন্য খারাপ সময় অপেক্ষা করছে। সংলাপ হোক। আলোচ্যসূচি স্পষ্ট করা হোক। শেখ হাসিনা কিংবা আওয়ামী লীগের কেউ নির্বাচনকালীন প্রধান হতে পারবেন না, এটা ঘোষণা দেয়া হোক। বিএনপির তথা জামায়াতের নেতাকর্মীদের মুক্তি দেয়া হোক। এতে করে সংলাপের একটা পরিবেশ সৃষ্টি হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে যা স্পষ্ট তা হচ্ছে সরকার তার অবস্থানে অনড়। শেখ হাসিনাই হবেন নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান। এতে করে সংলাপ করেও তো কোনো লাভ হবে না। তাই সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় আলোর রশ্মি দেখানোর দায়িত্ব সরকারের ঘাড়েই বর্তায়।
24.5.13
0 comments:
Post a Comment