রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নির্বাচনকালীন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনরায় আলোচনায় এসেছে। বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন আর ২০১১ সালে সেই সরকারব্যবস্থা বাতিল ঘোষিত হওয়ার পর পাকিস্তান ও নেপাল নির্বাচনকালীন এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গত ১১ মে পাকিস্তানে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার সে দেশে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২ জুন নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। জুনেই নেপালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সেখানে একটি সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে। সাবেক বিচারপতি মির হাজার খান খোসোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানে গেল মার্চে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছিল, তা ছিল পাকিস্তানের রাজনীতির জন্য একটি ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা। একদিকে উগ্র তালেবানি রাজনীতি পাকিস্তানের অস্তিত্বকে যখন হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছিল, তখন সেখানে সম্ভাব্য একটি সামরিক অভ্যুত্থানের কথা বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছিল। এমনি এক পরিস্থিতিতে বিচারপতি খোসোর নেতৃত্বাধীন সরকার একটি নির্বাচন সম্পন্ন করে প্রমাণ করল, পাকিস্তানের মানুষ এ নতুন ব্যবস্থায় আস্থাশীল।
পাকিস্তান ও নেপালের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে আমাদের দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির তেমন পার্থক্য নেই। পাকিস্তানে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল— পিপলস পার্টি ও মুসলিম লীগের (নওয়াজ শরিফ) মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে একাধিকবার সেখানে সরকারের পতন ঘটেছে। পিপিপি নেত্রী প্রয়াত বেনজির ভুট্টো দু-দুবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু শাসন মেয়াদ পূরণ করতে পারেননি। ঠিক তেমনি মুসলিম লীগ নেতা নওয়াজ শরিফও দু-দুবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও কোনোবারই তার শাসন মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। এমনি এক পরিস্থিতিতে জেনারেল পারভেজ মোশাররফ রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তবে ২০০৮ সালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় বেনজির ভুট্টো নিহত হলে দৃশ্যপট বদলে যায়। নির্বাচনে পিপিপি বিজয়ী হয় ও গত ১৭ মার্চ পিপিপি তাদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করেছে। একই কথা প্রযোজ্য নেপালের ক্ষেত্রে। নেপালে রাজতন্ত্র অবসানের পর সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে যে সাংবিধানিক পরিষদ গঠিত হয়েছিল, সেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ছিল না। সাংবিধানিক পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরই নয়া সংসদ নির্বাচনের জন্য তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। পাকিস্তান ও নেপালে নির্বাচনকালীন এ ধরনের একটি সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ হলো যে, এ দেশ দুটির রাজনীতিবিদরা চেয়েছেন নির্বাচনকে অর্থবহ এবং গ্রহণযোগ্য করতে এ ধরনের একটি সরকারব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। কেননা পাকিস্তান ও নেপালের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ক্ষমতাসীনদের দ্বারা পরিচালিত, যা সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূলে নয়। ক্ষমতাসীনরা নির্বাচনকে প্রভাবান্বিত করতে পারেন এবং সেক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফল ক্ষমতাসীনদের অনুকূলে চলে যেতে পারে। স্থানীয়ভাবে প্রভাব বিস্তার, স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করা, উপরন্তু নির্বাচন কমিশনকে আজ্ঞাবহ রাখার যে সংস্কৃতি এ দুটো দেশে দেখা যায়, তা থেকে বেরিয়ে এসে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করল।
নেপালে গঠিত হয়েছে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আগামী ২১ জুন সেখানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। আর এ লক্ষ্যে গত ১৪ মার্চ একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন নেপাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি খিলরাজ রেগমি। এর আগে গত ১০ প্রায় মাস ধরে সেখানকার রাজনীতিতে অচলাবস্থা চলে আসছিল। নেপালে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ নিয়ে একটি বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছিল। মূলত চারটি প্রধান দলের পক্ষ থেকেই গত দশ মাসে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। কিন্তু পার্লামেন্টের সমর্থন না পাওয়ায় কেউই ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে পারেননি। পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু এই সময়ে নেপালের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়ন করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রধান চারটি দল একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে নীতিগতভাবে একমত হয় ও বিচারপতি রেগমিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান করে। রেগমি এরই মধ্যে শপথও নিয়েছেন। তার প্রধান ও একমাত্র কাজ হচ্ছে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা। এখানে মূল সমস্যা ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার অভাব। কেউ কাউকে বিশ্বাস করছিলেন না। এমনকি মাওবাদীদের মধ্যেও দ্বন্দ্ব প্রকাশ পেয়েছিল। যারা বিশ্বরাজনীতির কিছুটা খোঁজখবর রাখেন; তারা জানেন, অতি সম্প্রতি ইউরোপের একটি দেশ বুলগেরিয়ায় সরকার ভেঙে দেয়া হয়েছে। বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট রোজেন প্লেভনেলিয়েভ সাবেক কূটনীতিক মারিয়ান রায়কভকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। রায়কভ মে মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন এবং মে মাসে তিনি সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করবেন। অনেকের মনে থাকার কথা, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে গ্রিসে পাপেন্দ্র সরকারের পতন ঘটেছিল। পরে সেখানে একজন বিচারপতি পাপাদেমাসের নেতৃত্বে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় এবং তিনি এরই মধ্যে একটি নির্বাচন সম্পন্ন করে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়েছেন।
গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে একটি অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বেমানান। কিন্তু কখনো-সখনো রাষ্ট্রকে এমন সব সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যা গণতান্ত্রিক চিন্তাচেতনার পরিপন্থী। গ্রিস, যেখানে একসময় গণতন্ত্রের বীজ রোপিত হয়েছিল, সেখানেও পরিস্থিতি বাধ্য করেছিল সরকারের নীতিনির্ধারকদের একটি তত্ত্বাবধায়কের ধারণা গ্রহণ করতে। ২০০৭ সালে কেনিয়া ও জিম্বাবুয়েতে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছিল, অথচ সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছিল না। বৃহত্তর ঐক্য ও সংকট এড়াতে সরকারকে সংবিধানবহির্ভূত অনেক সিদ্ধান্তই নিতে হয়। এসব ঘটনা থেকে আমরা কী শিখছি? বাংলাদেশে আন্দোলনের ফলশ্রুতি ছিল ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেটা ১৯৯৩ সালের পরবর্তী সময়ের কথা। জামায়াতে ইসলামীও সেদিন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল। বেগম জিয়া প্রথমে রাজি ছিলেন না। কিন্তু ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ কর্তৃক বয়কট এবং ১৩ দিনের ওই সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে লিপিবদ্ধ হয়েছিল। পরবর্তীতে সপ্তম (১৯৯৬), অষ্টম (২০০১) ও নবম (২০০৮) সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়, যা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। এর পর সংবিধানে সংশোধনী এনে এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল ঘোষিত হয়। এক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের একটি রায় বড় ভূমিকা পালন করেছে। এখন যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তা হচ্ছে, দশম সংসদ নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে? সরকার সংবিধান অনুসরণ করবে— এটাই স্বাভাবিক। আর সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার সুযোগ নেই। তবে এটাও সত্য, সব দলের বিশেষ করে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা না হোক, একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা ছাড়া বিকল্প নেই।
একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত না হলে দেশ গভীর সংকটে পড়বে। এক্ষেত্রে সংবিধানে কোনো সংশোধনী না এনেও একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করা যায়। এটা নিয়ে সংলাপ প্রয়োজন। সংলাপে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
১. নবম সংসদে নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যার বয়স হবে মাত্র তিন মাস। এই তিন মাসের মধ্যে ওই সরকার নির্বাচন পরিচালনা সম্পূর্ণ করতে বাধ্য থাকবে। ২. প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন মাস আগে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। ৩. দুটি প্রধান দলের পক্ষ থেকে সমানসংখ্যক প্রতিনিধি নিয়ে ওই সরকার গঠিত হবে। ৪. নিরপেক্ষতার স্বার্থে সংসদের একমাত্র স্বতন্ত্র সদস্যকে এ দায়িত্ব দেয়া যায়। অথবা সর্বজন গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছলে তিনি শূন্য আসনে বিজয়ী হয়ে একজন সংসদ সদস্য হিসেবে এ দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি আরপিওতে থাকতে হবে, যা সম্প্রতি বাতিল করা হয়েছে। ৫. নির্বাচন-পূর্ব তিন মাস প্রধান দুই দলের নেত্রী সমমর্যাদা ভোগ করবেন।
মোটা দাগে যে কথাটা বলা যায় তা হচ্ছে, নির্বাচন-পূর্ব তিন মাস প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে ঘোষণা করলেও তা গ্রহণযোগ্য হবে না। অর্থাত্ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে রেখে কোনো ফর্মুলাই জট খুলবে না। এক্ষেত্রে একটা সমঝোতা দরকার। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংলাপে বসার জন্য বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব একটি চিঠি দিয়ে এবং তার প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী মহাসচিব তারানকোকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছিলেন। তারা বারবার বলছেন, সংলাপ হোক। তথাপি সংলাপের কোনো এজেন্ডা নির্ধারিত হয়নি। তবে সরকারের বক্তব্য থেকে কতগুলো বিষয় পাওয়া যায়। এক. অন্তর্বর্তীকালীন অথবা নির্বাচনকালীন একটি সরকার হতে পারে। তবে কোনো অবস্থাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া যাবে না; দুই. একজন নির্বাচিত ব্যক্তি অন্তর্বর্তীকালীন অথবা নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবেন; তিন. প্রয়োজনে বিএনপি এবং সেসঙ্গে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী অন্যান্য দলের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন সরকার হতে পারে; চার. বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এ নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে থাকবেন। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো ‘এজেন্ডা’ যদি না থাকে, তাহলে সংলাপ করে কোনো লাভ হবে না। এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফেরার সম্ভাবনা কতটুকু? সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কার দিয়েছেন (আমাদের অর্থনীতি, ২১ মে ২০১৩)। তাতে তিনি বলেছেন, এটা সম্ভব যদি রাজনীতিবিদরা এক হতে পারেন। যদি তিনি এটা স্পষ্ট করেছেন যে— ১. নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার হতে পারে; ২. অনির্বাচিতদের নিয়ে এ সরকার করা যাবে না; ৩. বিচারপতি হক নিজে কোনো দায়িত্ব নেবেন না; ৪. পূর্ণাঙ্গ রায়ে (ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল-সংক্রান্ত) আরো দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার কথা বলা হয়েছে; ৫. গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজনীতিতে সুস্থিরতা প্রয়োজন। বলা প্রয়োজন, বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) বাতিল ঘোষণা করেছিলেন। এ ঘোষণা বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দেয়। এখন বিচারপতি হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় অনুসরণ করেই ‘রাজনীতিতে সুস্থিরতা’র স্বার্থে আরো দুই টার্ম কীভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়, সে ব্যাপারে সংলাপ হতে পারে। তবে তা নিঃসন্দেহে ১৯৯৬ সালে সংবিধানে যেভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা লিপিবদ্ধ হয়েছিল, সেভাবে হবে না। নির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়ে কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে এ সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করা যায়, এটা নিয়ে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন। পাকিস্তান ও নেপালের অভিজ্ঞতা দেখিয়ে দিল সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রয়োজন।
Daily BONIKBARTA ( Austroprohor )
25.5.13

0 comments:

Post a Comment