আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর একসময় ডাকসাইটে আমলা ছিলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খালকাটা কর্মসূচি নিয়ে (অনেকে বলেন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে) পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে প্রয়াত রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি হাজির হলেন নতুন একটি তত্ত্ব নিয়েÑ ‘ঝাঁকুনি তত্ত্ব’। ফেসবুকে দেখলাম আমার ছাত্ররা তাকে এরই মধ্যে আইজাক নিউটন, আইনস্টাইনের সঙ্গে ‘তুলনা’ করে একাধিক স্ট্যাটাস দিয়েছে। নিউটন বিখ্যাত হয়েছিলেন ‘ঞযবড়ৎু ড়ভ ৎেধারঃধঃরড়হ’-এর জন্য (১৬৮৭)। আইনস্টাইন বিখ্যাত হয়েছিলেন ‘ঞযবড়ৎু ড়ভ জবষধঃরারঃু’-এর জন্য (১৯০৫)। আর ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তামাশা করে মখা আলমগীরের ঝাঁকুনি তত্ত্বকে নামকরণ করল ‘ঞযবড়ৎু ড়ভ ঐড়ৎরুড়হঃধষ ঝযধশরহম’ হিসেবে। এর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। থাকার কথাও নয়। সাভার ট্রাজেডি তথা রানা প্লাজা ভেঙে পড়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি এভাবে, ‘মৌলবাদী, বিএনপির হরতাল সমর্থকরা ফাটল ধরা ভবনটি নাড়াচাড়া করায় ভবনটি ধসে গড়ার পেছনে সেটাও একটা সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।’ বিবিসি এবং আরও কয়েকটি মিডিয়া তার এ বক্তব্য প্রচার করেছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে তিনি বলেছেন, মিডিয়া তার বক্তব্য ঠিকমতো প্রচার করেনি, কিন্তু তার সেই ব্যাখ্যা সাধারণ মানুষ গ্রহণ করে নেয়নি।
আমাদের দুর্ভাগ্য, জাতি যখন একটা মহাবিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়, তখন মন্ত্রীরা এর ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত হন। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য একটা বাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ঝাঁকুনি দিয়ে যে একটা নয়তলা ভবন ভেঙে ফেলা যায় না, এটা বোঝার জন্য স্কুলে যাওয়ারও প্রয়োজন নেই। একটা বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। নির্মাণত্র“টির কারণে দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছিল। আলমগীর সাহেব দেখতে গিয়েছিলেন, সেটাও ঠিক। কিন্তু বেফাঁস বক্তব্য কেন? কেন আমাদের রাজনীতিকদের সৎ সাহস নেই সত্য কথা বলার? কেন অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর প্রবণতা আমাদের রাজনীতিকদের মাঝে জš§ হয়? রানা প্লাজার ফাটল নিয়ে সত্য কথা বললে তো কোন ক্ষতি ছিল না? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে সোহেল রানা সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তাও সত্য ছিল না। ফেসবুকে সাভারে হরতালবিরোধী (২৬ এপ্রিল) মিছিলে রানার নেতৃত্ব দেয়ার ছবি আপলোড করা হয়েছে। রানা তো যুবলীগ করতেন। এটা বলার মাঝে তো কোন অন্যায় নেই। যারা যুবলীগ করে, ছাত্রলীগ করে, তারা সবাই নিশ্চয়ই ধোয়া তুলসীপাতা নন। প্রধানমন্ত্রী তো এসব ভালো করেই জানেন।
ইতিমধ্যে সাভার ট্রাজেডির এক সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। কিন্তু সরকার কি উপলব্ধি করতে পারছে, এ ঘটনা কত বড় ঝাঁকুনি দিয়ে গেল বাংলাদেশের অর্থনীতিকে? সরকার তো পারত একটা টাস্কফোর্স গঠন করতে। সরকার তা করেনি। এর অর্থ সরকার বিষয়টাকে খুব গুরুত্ব দেয়নি। এটাও সরকারের ভুল স্ট্র্যাটেজি। ক্যালিফোর্নিয়াতে গ্যাপের (বড় চেইন স্টোর) মূল ভবনের সামনে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ করেছে। তাদের দাবি, মৃত্যুকূপ (বাংলাদেশের গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি) থেকে মানুষদের বাঁচাও। সস্তা পণ্য আনা বন্ধ কর। মার্কিন সংবাদপত্রগুলো পাঠ করে আমার মনে হয়েছে, অচিরেই কংগ্রেস সদস্যরা মার্কিন লেবার অর্গানাইজেশনের চাপের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। তারা চান না বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি বন্ধ হোক। তারা শুধু চাচ্ছেন কমপ্লায়েন্সের নীতিমালা যেন অনুসরণ করা হয়। পোশাক কর্মীদের নিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত হয়। শ্রমমান যেন হয় আন্তর্জাতিক মানের। বাংলাদেশ সরকার ও বিজিএমইএ এটা নিশ্চিত করতে পারেনি। রানা প্লাজায় যে পাঁচটি তৈরি পোশাকের কারখানা ছিল, তার একটিও কমপ্লায়েন্সের নীতিমালা অনুসরণ করেনি। গেল বছরের নভেম্বরে তাজরিন গার্মেন্টে দুর্ঘটনার পর বিষয়টি সর্বত্র ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরোক্ষ চাপ ছিল। সরকার তখন তৎপর হয়। একটি টাস্কফোর্স গঠন করে। ওই পর্যন্তই। তারপর যা ছিল, তা-ই থেকে গেছে।
বাংলাদেশে একটি কারখানা পরিদর্শন অধিদফতর রয়েছে। কেউ কি বলতে পারবেন, এদের কাজটি কী? ক’টা গার্মেন্ট কারখানা তারা পরিদর্শন করেছেন? অভিযোগ আছে, গার্মেন্ট মালিকদের কাছ থেকে তারা উপঢৌকন নিতেই বেশি পছন্দ করেন। রানা প্লাজার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তারাও জড়িত। সাভার পৌরসভা থেকে রানা ভবন নির্মাণের অনুমতি নেয়া হয়েছিল। পৌরসভার ক্ষমতা আছে বলেই তারা অনুমতি দেয়। কিন্তু এটা তো রাজউকের এলাকা। রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কী করেছেন? কোন অনুমতি ছাড়াই নয়তলা ভবন উঠে গেল আর রাজউক বসে বসে তা দেখল! রাজউকের লোকবল যদি না থাকে, তাহলে রাজউকের ক্ষমতা ছেঁটে দেয়া হোক। ভবন নির্মাণ, পরিদর্শন ও নির্মাণ চলাকালীন দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হোক অন্য কোন সংস্থাকে। সাভার ট্রাজেডির দায়ভার রাজউককেও নিতে হবে।
সবচেয়ে বড় অপরাধ করেছে বিজিএমইএ। তারা সব সময় অবৈধ গার্মেন্ট মালিকদের পক্ষ অবলম্বন করে। অভিযুক্ত গার্মেন্ট মালিকদের প্রোটেকশন দেয়। সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করে। ‘কমপ্লায়েন্স’ বাস্তবায়নের জন্য গার্মেন্ট মালিকদের আদৌ কোন চাপ দেয় না। বৈদেশিক মুদ্রার জন্য আমরা হাজারটা মৃত্যুকূপ তৈরি করেছি। ৪ হাজার গার্মেন্ট আছে। তবে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পূর্ণ উৎপাদনে রয়েছে। এর মাঝে অর্ধেকও ‘কমপ্লায়েন্স ফ্যাক্টরি’ নয়। এটা বিজিএমইএর নেতারা জানেন। তারপরও তারা কোন উদ্যোগ নেননি। এই মৃত্যুর দায়ভার তাদেরও বহন করতে হবে।
শুধু পাঁচ শতাধিক মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে সাভার ট্রাজেডিকে বিবেচনা করা যাবে না। একটা বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে পোশাক শিল্প। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা তো বলেই দিয়েছেন, জিএসপি আলোচনায় সাভারের ঘটনা প্রভাব ফেলবে। এর অর্থ পরিষ্কার। পোশাক শিল্পে যে শুল্কমুক্ত সুবিধার দাবি আমরা করেছিলাম, তা এখন অনিশ্চিত হয়ে গেল। অর্ডার বাতিলসহ নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে পোশাক শিল্প। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘নিষেধাজ্ঞা’র বিষয়টিও আমি এড়িয়ে যেতে পারি না। তাই বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ইমেজ ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বিষয় নির্ভর করছে। বৈদেশিক আয়ের শতকরা ৭৫ থেকে ৭৮ ভাগ আসে এ খাত থেকে। এমনিতেই আশুলিয়ার শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলামের হত্যাকাণ্ড নিয়ে মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের ওপর খুশি নয়। এখন একের পর এক গার্মেন্ট দুর্ঘটনায় মার্কিন প্রশাসন যে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
এ সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অনেক কিছুই করণীয় আছে : ১. চালু গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিগুলো কমপ্লায়েন্স নীতিমালা অনুসরণ করছে কিনা, অবিলম্বে তা পরীক্ষা করা। অসাধু ও ঘুষখোর সরকারি কর্মচারীদের দিয়ে তা পরীক্ষা করলে চলবে না। প্রয়োজনে আইএলও’র ঢাকা অফিসকে যুক্ত করে একটি কমিটি গঠন করতে হবে, যারা এটা তদন্ত করবে; ২. তাদের পরীক্ষার ভিত্তিতে ‘কমপ্লায়েন্সহীন’ ফ্যাক্টরিগুলো দ্রুত বন্ধ করে দিতে হবে। কোন তদবির চলবে না; ৩. প্রতিটি ভবনের (যেখানে গার্মেন্ট কারখানাগুলো অবস্থিত) নকশা, রাজউকের অনুমোদন, পরিবেশ দ্রুত পরীক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। বিজিএমইএর কোন প্রতিনিধি থাকবে না; ৪. বহুতল ভবন থেকে দ্রুত ফ্যাক্টরিগুলো সরিয়ে নিতে হবে। ফ্যাক্টরিগুলোতে কাজের পরিবেশ বাড়াতে হবে। প্রত্যেক শ্রমিকের জন্য ২০ লাখ টাকার জীবন বীমা বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে; ৫. একশ’ কোটি টাকার টার্গেট সামনে রেখে একটি ফান্ড গড়ে তুলতে হবে সাভার ট্রাজেডিতে যারা নিহত ও আহত হয়েছেন, তাদের পুনর্বাসনের জন্য। যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের এককালীন বরাদ্দ এবং যারা পঙ্গু হয়েছেন, তাদের আজীবন সাহায্য করতে হবে। এ দায়িত্ব বিজিএমইএকে দেয়া হলে তারা সঠিকভাবে তা পরিচালনা করতে পারবে বলে মনে হয় না। সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগ এ দায়িত্বটি নিতে পারে। ব্যাংকগুলো সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় এ কাজে শরিক হতে পারে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে চাঁদা গ্রহণ শুরু হয়েছে। এটা ভালো নয়। সরকার নিজে চাঁদা গ্রহণ করতে পারে। স্থানীয়ভাবে গার্মেন্ট কর্মীদেরও পুনর্বাসন করা যায়। এককালীন টাকা দেয়ার পরিবর্তে কয়েকটি সেলাই মেশিন দেয়া, কয়েকটি স্কুটার কিনে দেয়া, একটি মুদি দোকান স্থাপন করে দেয়া ইত্যাদি। এভাবে পঙ্গু গার্মেন্ট কর্মীদের সহযোগিতা করা যায়। অনেকের মানসিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যগত চিকিৎসা প্রয়োজন। এটিও নিশ্চিত করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে বিদেশী ক্রেতা সংস্থার (ওয়ালমার্ট, গ্যাপ ইত্যাদি) আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সরকার যোগাযোগটা করিয়ে দিতে পারে।
আমরা বারবার একটি ‘ভুল’ করি। গার্মেন্টে দুর্ঘটনা ঘটে আর বিজিএমইএ মৃত ব্যক্তিদের আÍীয়-স্বজনের হাতে লাখ টাকার চেক ধরিয়ে দেয়। এ দৃশ্য আর দেখতে চাই না। এ ঘটনায় সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অদক্ষতা ও সুশাসনের যে বড় অভাব রয়েছে, তা প্রমাণিত হল। রানাকে গ্রেফতার করায় র্যাবকে অবশ্যই সাধুবাদ জানাব। কিন্তু র্যাব মহাপরিচালকের বক্তব্যের সমালোচনা করতে হয়, যখন তিনি সাভার ট্রাজেডির জন্য শুধু রানাকেই দায়ী করেন। রানা অবশ্যই দায়ী। তবে গার্মেন্ট মালিক ও তাদের সুপারভাইজাররাও অবশ্যই দায়ী। গার্মেন্ট কর্মীদের তো জোর করে ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি মালিকদের স্বার্থে এ ধরনের বক্তব্য দিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাকরিতে বহাল থাকেন কিভাবে? তিনি সার্টিফিকেট দেয়ায় গার্মেন্ট মালিকরা উৎসাহিত হয়েছিলেন।
পাঁচ শতাধিক লোকের মৃত্যুর ঘটনা স্বাভাবিক নয়। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের ‘নীরবতা’ আমাকে অবাক করেছে। এতজন মানুষ মারা গেল আর তিনি নীরব থাকলেন? এটা অগ্রহণযোগ্য। তিনি ওই পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এখন অন্যতম আলোচিত বিষয়। মার্কিন কংগ্রেস, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনেও যে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নিয়ে আগামীতে আলোচনা হবে, তা নির্দ্বিধায় বলতে পারি। এটা বাংলাদেশের ভাবমূর্তির জন্য ভালো কোন খবর নয়। এমন খবরও ব্রিটেনের পত্রিকায় ছাপা হয়েছে যে, ব্রিটেন আটকাপড়া কর্মীদের উদ্ধার অভিযানে সহযোগিতা করতে চেয়েছিল কিন্তু বাংলাদেশ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এটা যদি সত্য হয়ে থাকে, তা দুঃখজনক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমরা এখনও দক্ষতা অর্জন করতে পারিনি। এক্ষেত্রে বৈদেশিক সাহায্য নিলে ক্ষতির কিছু ছিল না।
আরও একটা কথা। সাভার ট্রাজেডি আমাদের জন্য একটি ‘ওয়েকআপ’ কল। ঢাকা নগরীতে বিশতলা ভবনের সংখ্যা এখন অনেক। এসব ভবন আদৌ মানসম্মত কিনা, তার গাঁথুনি কতটুকু শক্তিশালী সে ব্যাপারে আমার সন্দেহ রয়েছে। অথচ এসব ভবনে শত শত পরিবার বসবাস করে। তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে। অতি দ্রুত এসব ভবনে সার্ভে করা প্রয়োজন। ১৮ দল ২ মে হরতাল আহ্বান করেও সাভার ট্রাজেডির কারণে ‘মানবতার স্বার্থে’ তা স্থগিত করেছেন। এটাও প্রত্যাশিত, তারা পোশাক কর্মীদের পুনর্বাসনে এগিয়ে আসবেন।
মোদ্দাকথা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে অর্থেই ঝাঁকুনি তত্ত্বের কথা বলুন না কেন, বাস্তব সত্য হচ্ছে, এ ঘটনা আমাদের একটা বড় ঝাঁকুনি দিয়ে গেল। সরকার যদি সচেতন হয়, আরও দায়িত্ববান হয়, তাহলে তা আমাদের সবার জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে।
Daily JUGANTOR
06.05.13
0 comments:
Post a Comment