রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

পোশাকশিল্পে অশনিসংকেত





সাভারের রানা প্লাজা ধসে পাঁচ শতাধিকের বেশি পোশাককর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাত বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। ভবনধসের এ ঘটনাকে সরকারের মন্ত্রীরা ‘হত্যাকাণ্ড’ (স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ (যোগাযোগমন্ত্রী) হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এমনকি মহাজোট সরকারের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতিও বলেছেন, ‘রানা প্লাজার হত্যাকাণ্ড যুদ্ধাপরাধীদের গণহত্যার সমতুল্য’ (নতুন বার্তা)। এ ‘হত্যাকাণ্ডের’ ঘটনাটি ঘটল এমন একসময়, যখন বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৈরি পোশাকে জিএসপি সুবিধা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং একটি সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিল। এখন পোশাকশিল্পে এ ধরনের ঘটনা বাংলাদেশের এ জিএসপি সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনাকে অনিশ্চিত করে তুলল। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মোজিনা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন, ‘রানা প্লাজার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জিএসপি সুবিধা পেতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মনে রাখতে হবে, এ ঘটনাটি ঘটল এমন একসময়, যখন বাংলাদেশের দুজন নারী পোশাককর্মী (সুমি আবেদিন ও কল্পনা আখতার) যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। এরা দুজনই তাজরীন গার্মেন্টে কর্মরত ছিলেন। গেল বছরের নভেম্বরে তাজরীন গার্মেন্টেও যে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল, তাতে প্রায় ১১০ জন পোশাককর্মী পুড়ে মারা গিয়েছিলেন। তাজরীন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত চেইন শপ ওয়ালমার্টের জন্য পোশাক তৈরি করত। তাজরীনের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছিল এবং মার্কিন আইনপ্রণেতাদের কাছে একটি নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিয়েছিল। ওই ঘটনার পর শুধু ওয়ালমার্টই নয়, আরো বেশকিছু কোম্পানি, যারা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করে— তারা অর্ডার প্রত্যাহার করে নেয়। তাজরীনের ঘটনা শুধু মার্কিন কংগ্রেস সদস্যদের দৃষ্টিই কাড়েনি, বরং একই সঙ্গে মার্কিন লেবার অর্গানাইজেশনের দৃষ্টিও কেড়েছিল। মার্কিন সমাজে এসব লেবার অর্গানাইজেশন অত্যন্ত শক্তিশালী। এদের কেউ চটাতে চায় না। আমি তখন এমন দাবিও করতে দেখেছি যে, কোনো কোনো সংস্থার পক্ষ হতে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি বন্ধেরও আহ্বান জানানো হয়েছে। তাজরীন দুর্ঘটনায় মার্কিন সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় ওই দুই পোশাককন্যাকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তারা এরই মধ্যে সেখানে বিভিন্ন সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন ও মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। বেশ কয়টি প্রভাবশালী পত্রিকা তাদের সাক্ষাত্কারও প্রকাশ করছে। তারা মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের কারো কারো সঙ্গে দেখা করার চেষ্টাও করছেন। যেহেতু মার্কিন ট্রেড ইউনিয়নের আমন্ত্রণে তারা সেখানে গেছেন, সুতরাং কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে তাদের সাক্ষাত্ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তারা একদিকে যেমন ওয়ালমার্ট থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে সমর্থ হয়েছেন, অন্যদিকে তারা পোশাকশিল্পে (বাংলাদেশে) যাতে মানবিক ও নিরাপত্তামূলক পরিবেশব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায়, সে ব্যাপারে এক ‘ক্যাম্পেইনে’ অংশ নিচ্ছেন। সুমি নিজে তাজরীনের দুর্ঘটনায় আহত হলেও কল্পনা আখতার মূলত ট্রেড ইউনিয়ন নেত্রী। ওয়ালমার্ট এরই মধ্যে তাজরীন দুর্ঘটনার পর ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। প্রশ্ন থেকে যায়, এর কত অংশ নিহতরা পেয়েছেন, কত অংশ  বিজিএমইএর নেতাদের পকেটে গেছে? তাজরীন দুর্ঘটনার রেশ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই রানা প্লাজা ধসের ঘটনা ঘটল। খুব স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটা মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। রাষ্ট্রদূত মোজিনার বক্তব্য এই ইঙ্গিতই দেয়। রানা প্লাজার ঘটনা নিউইয়র্ক টাইমস কিংবা হাফিংটন পোস্ট গুরুত্বসহকারে একাধিক ছবিসহ ছেপেছে। মার্কিন সংবাদপত্রে চারটি পোশাক তৈরির কারখানার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলো রানা প্লাজায় অবস্থিত ছিল। এগুলো হচ্ছে— ফ্যান্টম অ্যাপারেলস, নিউ ওয়েভ স্টাইল লিমিটেড, নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড এবং নিউ ওয়েভ ব্রাদার্স। এরা যুক্তরাষ্ট্রের চেইন চিলড্রেনস প্লেস, যুক্তরাজ্যের ড্রেস ও প্রাইমার্ক, স্পেনের মমো, ইতালির কোম্পানি বেনেটনে পোশাক সরবরাহ করত। ওয়ালমার্টে এরা সাব-কন্ট্রাক্টে পোশাক সরবরাহ করত বলে দাবি করা হলেও ওয়ালমার্ট থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রায় চার হাজার পোশাক তৈরির কারখানা রয়েছে, যার মধ্যে কিছু বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এর মধ্যে কিছু কারখানা রয়েছে, যাদের আদৌ অনুমোদন নেই। গেল বছর ঢাকার মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় এক তৈরি পোশাক  কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের পরই জানা গেল ওই কারখানার অনুমোদন ছিল না। তৈরি পোশাক আমাদের জন্য এখনো সম্ভাবনাময় খাত। বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাকে বাংলাদেশ একটি ‘শক্তি’। বাংলাদেশকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয় চীন ও ভারতের সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্রে ৯৯টি বিভিন্ন ধরনের তৈরি পোশাকের ‘আইটেম’ সরবরাহ করে বাংলাদেশ। ভারত ও চীনের এ সংখ্যা ১৬১ ও ১৬৭। অর্থাত্ অনেক ‘আইটেম’ বাংলাদেশ তৈরি করে না। সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহ বাড়ার কারণ হচ্ছে— চীন ধীরে ধীরে তৈরি পোশাক উত্পাদন থেকে নিজেদের গুছিয়ে আনছে। কেননা চীনে শ্রমিকদের বেতন বেড়ে গেছে। দ্বিতীয়ত. চীন এখন ভারী শিল্পের দিকে যাচ্ছে। এমন কথাও শোনা গিয়েছিল যে, চীন তার তৈরি পোশাক কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরিত করবে। কেননা বাংলাদেশের শ্রমিক সস্তা। কম মূল্যে এখানে শ্রমিক পাওয়া যায়। বরং বৈদেশিক মুদ্রার প্রায় ৭৫ শতাংশ আসে এ তৈরি পোশাক খাত থেকে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৯০ সালে যেখানে চীন, ভারত ও বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ করেছে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন, দশমিক ৮ বিলিয়ন ও দশমিক ৪ বিলিয়ন মূল্যের তৈরি পোশাক; ২০০৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৪ বিলিয়ন, ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ও ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ এখনো চীন থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। তবে ১৫ শতাংশ হারে চাহিদা বাড়ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের। ২০০৫ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যেখানে বিশ্বে ২৭৬ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাকের বাজার ছিল, সেখানে বাংলাদেশ সরবরাহ করেছিল মাত্র ৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। সাত বছর পর এ বাজার এখন প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের। শ্রমমূল্য কম হওয়ায় বাংলাদেশী তৈরি পোশাকের চাহিদা থাকবেই।
বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো মানসম্মত নয়; পরিবেশ, স্বাস্থ্য উপযোগী নয়। কারখানাগুলোয় নিরাপত্তাব্যবস্থা বলতে কিছুই নেই। উপরন্তু শ্রমিকদের বেতন আন্তর্জাতিক মানের নয়। এজন্য মার্কিন ক্রেতারা দীর্ঘদিন ধরে কারখানাগুলোয় ‘কমপ্লায়েন্সের’ কথা বলে আসছিল। অর্থাত্ ক্রেতারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘একটা মান’ নির্ধারণ করেছিল। যেসব ফ্যাক্টরি ‘কমপ্লায়েন্স ফ্যাক্টরি নয়, সেসব কারখানা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রফতানি নিষিদ্ধ। এখানে সমস্যা হচ্ছে কিছু কিছু কারখানা, যারা ‘কমপ্লায়ে’ ফ্যাক্টরি, তারা মার্কিন ক্রেতাদের, বিশেষ করে বড় বড় চেইন স্টোরগুলোর (যেমন ওয়ালমার্ট, গ্যাপ ইত্যাদি) বিপুল অর্ডার গ্রহণ করে এবং একপর্যায়ে বাধ্য হয় সাব-কন্ট্রাক্ট দিতে। আর তখনই তৈরি হয় সমস্যা। কেননা সাব-কন্ট্রাক্ট নেয়া কোম্পানিগুলো ‘কমপ্লায়েন্ট’ নয়। তাজরীনের ঘটনার পর এটা ব্যাপকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচার হয় যে, বাংলাদেশের কারখানাগুলো ‘কমপ্লায়েন্সে’র মান অনুসরণ করছে না। রানা প্লাজার পাঁচ শতাধিকের বেশি পোশাককর্মীর মৃত্যুর পর আবারো শোনা গেল সেই ক্ষোভের কথা। গ্লোবাল লেবার অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের নির্বাহী পরিচালক চার্লস কেরনাগানের একটি বক্তব্য মার্কিন পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে এভাবে— ‘You can’t trust many building in Bangladesh. Its so corrupt that you can buy off anybody and there would be any retribution।’ মিথ্যা বলেননি তিনি। গত কয়েক বছরে পোশাক কারখানায় যত দুর্ঘটনা ঘটেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কোনো ভবনই বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে ভবন তৈরি করা হয়নি। তাজরীন গার্মেন্ট যে ভবনে ছিল, তার আইনগত অনুমোদন ছিল না। ২০০৫ সালে সাভারের পলাশবাড়ীতে স্পেকট্রাম গার্মেন্ট ধসে পড়ে। এরও অনুমোদন ছিল না। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে কোম্পানির মালিকরা পার পেয়ে যান। কোনো একটি ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়নি। স্পেকট্রাম গার্মেন্টের দুর্ঘটনায় হাইকোর্ট একটি রুল দিয়েছিলেন। দীর্ঘ আট বছর পরও সে রুলের কোনো জবাব দেয়া হয়নি।
রানা প্লাজার দুর্ঘটনা আমাদের জন্য একটি অশনিসংকেত। ভবনধসে একসঙ্গে এত মানুষের মৃত্যু বিশ্বের অন্য কোথাও ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। এর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বেই। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের তৈরি পোশাকের যে বাজার, সেখানে প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে। মার্কিন ক্রেতারা ভিয়েতনাম কিংবা কম্বোডিয়ায় নতুন বাজার খুঁজবেন। এমনকি মিয়ানমার হতে যাচ্ছে তাদের জন্য নতুন এক বাজার। সম্ভাবনাময় এ খাতে ধস নামতে পারে। সরকার, বিজিএমইএ, ভবনমালিক, রাজউক সবাই মিলে আমরা এ খাত ধ্বংস করতে বসেছি। একটি তথাকথিত তদারকি সংস্থা আছে। তাদের কী কাজ আল্লাহ মালুম! কারো কোনো দায়বদ্ধতা নেই। একে অন্যের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। স্পেকট্রাম, তাজরীন আর এখন রানা প্লাজা— প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা দেখি সেই পুরনো দৃশ্য; বিল্ডিং কোড মেনে ভবন তৈরি করা হয়নি; রাজউকের আওতাধীন হলেও কোনো তদারকি ছিল না। মালিক অভিযুক্ত হলেও বিজিএমইএকে মালিকদের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে আর এক একটি মৃত্যুর ‘সম্মানী’ ১ লাখ টাকা। এবারো সবার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪ কোটি টাকা। উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে মূল প্রশ্ন। আমরা জানি না যে, সাত হাজার তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে, তার সবগুলো নিরাপদ কিনা? কর্মীদের সবার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে কিনা? ভবনগুলোর পূর্ণ তদারকি রিপোর্ট বিজিএমইএ কিংবা সরকারের কাছে আছে কিনা? আমাদের সাধারণ পোশাককর্মীরা মাত্র ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে (মাসিক বেতন) ‘গিনিপিগ’ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। জীবনের মূল্য এত কম, এটা বোধ করি বাংলাদেশেই সম্ভব।
রানা প্লাজার ঘটনা দুর্ঘটনা বলি আর হত্যাকাণ্ডই বলি, এ ঘটনা কি আমাদের কিছু শেখাবে? আমাদের কি টনক নড়বে? গত ক’দিন যেখানে রানা প্লাজা থেকে একের পর এক মৃতদেহ বের করা হলো, সেখানে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের দায়িত্ব শেষ করলাম! পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃতদেহ আর শত শত মানুষের উত্কণ্ঠা, স্বজন হারানোর বেদনার পরও আমরা ব্যস্ত থেকেছি ঢাকায় ‘বাংলাদেশ গেমস’ নিয়ে। এতগুলো মানুষ মারা গেল। আমরা কি পারতাম না এ গেমসের সমাপ্তি টানতে? আমাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। রানা প্লাজার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আমরা এ খাতকে এরই মধ্যে ধ্বংস করে ফেলেছি। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হতে চায়। কিন্তু এভাবে মানুষ হত্যা করে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছানো যাবে না। অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকেই। কেননা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা তাদের যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারছেন না। ‘মৃত্যুর মিছিলে’ আরেকটি ‘রানা প্লাজা’ সৃষ্টি হোক, আমরা তা চাই না। সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এখনই।
Daily Bonik Barta
05.05.13

0 comments:

Post a Comment