সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বেশ কিছু ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, যাতে করে এমন একটা ধারণার জš§ হওয়া স্বাভাবিক যে, সরকার ধীরে ধীরে এককভাবে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ না নিলেও সরকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে দশম সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবে। প্রধানমন্ত্রীর খুব প্রিয়ভাজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এই নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে (২০১৪) অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করলেও এর আগেও নির্বাচন হতে পারে। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। এক্ষেত্রে ডিসেম্বর যেমন একটি সম্ভাবনা, তেমনি এর আগেও হতে পারে।
এক্ষেত্রে সরকারের স্ট্র্যাটেজি অনেক। এক. বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে তাদের ব্যতিব্যস্ত করে রাখা, যাতে তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে না পারেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা ও ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ এবং এমকে আনোয়ারের জামিন বাতিল করে জেলে পাঠানো এ ধারণাকেই সমর্থন করে। দুই. প্রধানমন্ত্রী প্রতি সপ্তাহেই গণভবনে বিভিন্ন জেলার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে তিনি প্রার্থী চূড়ান্ত করছেন এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য কর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন। তিন. তথাকথিত সংলাপের নামে সময়ক্ষেপণ করছে সরকার। উদ্দেশ্য পরিষ্কার। দাতাগোষ্ঠীকে একটা মেসেজ পৌঁছে দেয়া যে, সরকার সংলাপের ব্যাপারে সিরিয়াস। সরকারের নীতিনির্ধারকরা এটা ভালো করে জানেন যে, সংলাপের এজেন্ডা নির্ধারিত না থাকায় বিএনপি সংলাপে অংশ নেবে না। বিএনপির মূল দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা নির্বাচনকালীন একটি সরকার। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা স্পষ্ট করেছেন, শেখ হাসিনাই হবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান। এর বাইরে অন্য কোন প্রস্তাব তারা গ্রহণ করবেন না। আর বিএনপির এক্ষেত্রে আপত্তি রয়েছে। ফলে সংলাপের জট খুলছে না। চার. সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, নির্বাচনের সিডিউল ঘোষিত হলে শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে আসবে। অথবা বিএনপির একটা অংশ বেরিয়ে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। সেক্ষেত্রে তাতে সরকারের একটা সমর্থন থাকতে পারে। এইচএম এরশাদের নেতৃত্বে একটি জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠন করাও বিচিত্র নয়। এরশাদ ইতিমধ্যে সরকারবিরোধী একটা অবস্থান গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের আগামী রাজনীতিতে তার একটি ভূমিকা থাকবে বলেই অনেকে মনে করছেন।
তবে সব অংকের হিসাব বদলেও যেতে পারে। চার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা অংশ নিচ্ছেন। আগামী ১৫ জুন এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দুটি বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জন্য এ নির্বাচন একটি ‘লিটমাস টেস্ট’। এই নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয় এবং বিএনপি প্রার্থীরা যদি বিজয়ী হন, তাহলে হিসাব-নিকাশ পাল্টে যেতে পারে। রাজশাহীতে মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, খুলনায় মনিরুজ্জামান মনি, বরিশালে আহসান হাবিব কামাল ও সিলেটে আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপির প্রার্থী। ১৮ দল তাদের সমর্থন দিয়েছে। এক্ষেত্রে কোথাও কোথাও (রাজশাহী, সিলেট) জামায়াতের প্রার্থী ছিল। তারা কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এক্ষেত্রে জামায়াতের সমর্থন যদি শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত হয়, তাহলে ভোটের হিসাব-নিকাশ পাল্টে যেতে পারে এবং বিএনপিকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তা প্ররোচিত করতে পারে। তবে নির্বাচন প্রশ্নে কে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন, শুধু এ প্রশ্নেই জটিলতা রয়েছে, তা নয়। আরও বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। এ ব্যাপারেও একটা ঐকমত্য থাকা প্রয়োজন। যেমন, সংসদ সদস্যরা তাদের পদে থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা, সে ব্যাপারে সংবিধানে অসঙ্গিত রয়েছে। সংবিধানের ১২৩ (৩) ‘ক’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে মেয়াদ অবসানের কারণে ভাঙিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙিয়া যাইবার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে।’ পাঠক, লক্ষ্য করুন এখানে ‘পূর্ববর্তী’ শব্দটি রয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে। এর ৯০ দিন আগে নির্বাচন হতে হবে। তাহলে যে প্রশ্নটি দাঁড়ায় তা হচ্ছে, সংসদ ভেঙে যাচ্ছে না। সংসদ বহাল রেখেই নির্বাচন হবে। যদি তাই হয়, তাহলে যিনি নির্বাচিত এমপি, তাকে রেখেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাহলে কী দাঁড়াল ব্যাপারটা? একজন ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বিজয়ী এমপি, অপরজন ২০১৩ সালের অক্টোবরে(?) অনুষ্ঠেয় দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী এমপি। একই ব্যক্তি হলে সমস্যাটা তুলনামূলভাবে কম। প্রধানমন্ত্রী কোন এক অনুষ্ঠানে একটি কথা বলেছেনÑ তিনি সংসদ ভেঙে দিতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করবেন, যাতে কোন জটিলতা না হয়। এক্ষেত্রেও আমাদের সংবিধানের ব্যাখ্যায় যেতে হবে। সংবিধানের ৫৭ (২) ধারায় বলা আছে, ‘সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন হারাইলে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করিবেন কিংবা সংসদ ভাঙিয়া দিবার জন্য লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শদান করিবেন এবং তিনি অনুরূপ পরামর্শদান করিলে রাষ্ট্রপতি, অন্য কোন সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন নহেন এই মর্মে সন্তুষ্ট হইলে, সংসদ ভাঙিয়া দিবেন।’ আবার লক্ষ্য করুন, ৫৭ (৩)-এ কী কথা বলা হয়েছেÑ ‘প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকিতে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই অযোগ্য করিবে না।’ এর ব্যাখ্যা করা যায় এরকম : ১. ধরে নিচ্ছি প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভেঙে দিতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করবেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি বাধ্য নন, ২. প্রধানমন্ত্রী সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থা হারাবেন (?), এটা কি চিন্তা করা যায়? সেক্ষেত্রে কেন প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভেঙে দিতে বলবেন? ৩. আসল বিষয় হচ্ছে, সংসদ ভেঙে গেলেও তিনি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী থেকে যাচ্ছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত। এক্ষেত্রে প্রশাসন যে প্রভাবান্বিত হয়ে পড়বে না, তার গ্যারান্টি কে দেবে?
সংবিধানের ১২৩ (৩) ধারা নিয়ে আরেকটি কথা বলা প্রয়োজন। ১২৩ (৩)-এ উল্লেখ আছে, ‘শর্ত থাকে যে (ক) উপদফায় (১২৩-৩-ক) উল্লেখিত মেয়াদ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সংসদ সদস্যরূপে কার্যভার গ্রহণ করিবেন না।’ তাহলে কি একই নির্বাচনী এলাকায় দু’জন সংসদ সদস্যের অস্তিত্ব থাকছে না? যিনি ‘৯০ দিন আগে’ যে কোন একসময় নির্বাচত হবেন, তিনি তো দায়িত্ব নিতে পারবেন না। তাকে অপেক্ষা করতে হবে ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত, যেদিন সংসদের মেয়াদ শেষ হবে।
সমস্যা আরও আছে। সংসদ সদস্যদের পদটি কি ‘লাভজনক’ পদ? এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন ব্যাখ্যা নেই। তবে লাভজনক পদের ব্যাপারে সংবিধানের ৬৬ (৪) ২ (ক) ধারায় একটি ব্যাখ্যা আছে। ওই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘এই অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য সাধনকল্পে (অর্থাৎ সংসদ সদস্য হবার যোগ্যতা) কোন ব্যক্তি (রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী) প্রজাতন্ত্রের কর্মে কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত বলিয়া গণ্য হইবেন না।’ অর্থাৎ উপরে উল্লিখিত পদগুলো সংবিধান অনুযায়ী ‘লাভজনক’ পদ নয়। যদিও এখানে ‘সংসদ সদস্যপদ’ কথাটি লেখা হয়নি, তবে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে মেয়র পদকে লাভজনক পদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মেয়র যেহেতু জনগণের ভোটে নির্বাচিত, সংসদ সদস্যরাও জনগণের ভোটে নির্বাচিত। এক্ষেত্রে সংসদ সদস্যপদ লাভজনক পদ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এমতাবস্থায় কেউ সংসদ সদস্যপদে নির্বাচিত হয়ে তিনি যদি মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হন, তিনি মন্ত্রী থেকে নির্বাচন করতে পারবেন কিনা, সেটা একটা প্রশ্ন। রাজনৈতিক দলের আচরণবিধিতে [২০০৮ (১৪), ধারা(১)] বলা হয়েছে, মন্ত্রী বা সুবিধাভোগী কোন ব্যক্তি নির্বাচন চলাকালীন নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারবেন না। এবং প্রচারণাও চালাতে পারবেন না। এর অর্থ কী? একজন মন্ত্রী বা এমপি, তিনি তো সুবিধাভোগী শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। সরকারের কাছ থেকে ভাতা নেন, সুযোগ-সুবিধা নেন। তিনি তো সরকারের সুবিধাভোগী। তিনি যদি নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে না পারেন, তাহলে প্রশ্ন তো থাকবেই। আর তিনি কি তা মানবেন? তিনি কি প্রভাব খাটাবেন না? অতীতে আমরা দেখেছি, নির্বাচনের সময় নির্বাচনী কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। আরপিওতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি থাকছে না। তাহলে স্থানীয় পর্যায়ে যে নির্বাচন, তার নিরপেক্ষতা আমরা নিশ্চিত করব কিভাবে?
গত ২৬ মে ও ২৯ মে বিএনপিসহ ১৮ দল হরতাল পালন করেছে। তাদের বক্তব্য স্পষ্ট। কারাবন্দি নেতা ও কর্মীদের মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল ও বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবং সভা-সমাবেশ করতে না দেয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে ১৮ দল এই হরতাল ডেকেছিল। সারাদেশের মানুষ ও সুশীল সমাজ এবং সেই সঙ্গে দাতাগোষ্ঠী যখন চাচ্ছে সরকার ও বিরোধী দলের মাঝে একটি ‘সংলাপ’ হোক, তখন সরকার এই সংলাপ নিয়ে একটি ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছে। বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক তথা নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি গুলিয়ে ফেলেছেন। তথাকথিত টিভি টকশোতে এসব চিহ্নিত বুদ্ধিজীবী বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। এমনকি বয়োজ্যেষ্ঠ ধর্মীয় নেতা আল্লামা শফীকে নিয়ে কটূক্তি করতেও তারা দ্বিধাবোধ করেননি। তারা মূল বিষয়কে পাশ কাটিয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্য বিষয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। তাতে তারা সফলও হয়েছেন। মূল বিষয় হচ্ছে একটিÑ নির্বাচনকালীন সরকার। শেখ হাসিনা একটি দলের প্রধান। তিনি যদি ওই তিন মাসের জন্য সরকারপ্রধান থাকেন, তাহলে নির্বাচন যে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না, তা স্বীকার করেছেন ক্ষমতাসীন মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি প্রধান এইচএম এরশাদও। সরকার একদিকে বিএনপিকে বলছে সংসদে এসে আলোচনা করার জন্য, আবার দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, শেখ হাসিনাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন। সিদ্ধান্তটি যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে সংলাপ হবে কিভাবে? আমরা একবারও চিন্তা করছি না দেশকে আমরা কোন্ পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছি। সরকারের নীতিনির্ধারকরা ভালো করেই জানেন, বিএনপিসহ ১৮ দল কোন অবস্থাতেই ‘শেখ হাসিনাকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী’ রেখে কোন সমঝোতায় যাবে না। ফলে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে এবং বিরোধী দলকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে কঠোর কর্মসূচি দিতে, যা দেশের জন্য কোন মঙ্গল বয়ে আনছে না।
আমরা মনে করি, এখনও সমঝোতা সম্ভব। বর্তমান সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী যথেষ্ট বিজ্ঞ। তিনি যদি স্বীকার করেন, তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হবেন না, তাতে জটিলতা অনেক কমে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বর্তমান সংসদের একজন সিনিয়র সংসদ সদস্যকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী করে উভয় দলকে নিয়ে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যায়। আর রাষ্ট্রপতির যে কোন উদ্যোগও একটা ‘ফল’ বয়ে আনতে পারে। আমরা একটি ক্রান্তিকালীন পার করছি। ইতিহাস আমাদের আগামী দিনে কিভাবে মূল্যায়ন করবে, জানি না। কিন্তু আমরা যদি একটা সমাধানে উপনীত হতে না পারি, তাহলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।
Daily JUGANTOR
01.06.13
0 comments:
Post a Comment