বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৩
স্টাফ রিপোর্টার: বিরোধী দলীয় নেতা
খালেদা জিয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তরের আন্ডার
সেক্রেটারি ওয়েন্ডি আর শ্যারমেনের সাক্ষাৎ বাতিল বিএনপির আন্তর্জাতিক লবিতে
কোন প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষক অধ্যাপক
তারেক শামসুর রেহমান। শ্যারমেনের পক্ষ থেকে সাক্ষাত বাতিল করা হয়নি উল্লেখ
করে তিনি বলেন, হরতালের কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে সফররত অতিথিদের জানিয়ে
দেয়া হয়েছিল খালেদা জিয়া সাক্ষাৎ করবেন না। ফলে শ্যারমেন তার সফরসূচি বদল
করেন। মানবজমিন অনলাইনকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের সুনির্দিষ্ট কিছু পলিসি আছে। কোন দলের সঙ্গে সম্পর্কের
ভিত্তিতে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয় না। তারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সঙ্গে
সুনির্দিষ্ট কিছু স্বার্থে সম্পর্ক রাখে। আমরা দেখে আসছি মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কাছে, টিকফা চাচ্ছে, ইউনূস ইস্যুতে কি হচ্ছে তা
খোঁজ খবর রাখছে, শ্রমমান উন্নত করার কথা বলছে। এসব নীতির ব্যপারে বিএনপি
বরাবরই মার্কিন নীতির সঙ্গে একমত মনে হচ্ছে। সুতরাং ফার্স্ট সেক্রেটারির
সাক্ষাৎ বাতিলে কিছু আসে যায় বলে মনে হচ্ছে না। আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে
তারেক শামসুর রেহমান বলেন, সংলাপের আলোচনা হচ্ছিল, কিন্তু তা শেষ। এখন
সংলাপের কোন সম্ভাবনা নেই। সংলাপের প্রয়োজন ছিল এই প্রশ্নে যে কোন
প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হবে। সেক্ষেত্রে বিএনপির বিবৃতিগুলো
দেখে মনে হয় তারা তত্ত্বাবধায়ক প্রশ্নে ছাড় দিতে পারে। তারা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে অনাগ্রহী নয় বলা যায়, কিন্তু আওয়ামী লীগের ছাড়
দেয়ার প্রশ্নে সংশয় থেকে যাচ্ছে। নেতারা বারবার বলছেন, শেখ হাসিনাকে
প্রধান রেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হবে। কিন্তু এটাতো যৌক্তিক মনে হয় না।
সবমিলিয়ে আগামী নির্বাচনের ব্যপারে সুনির্দিষ্ট কোন ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না।
Daily MANOBJAMIN ( Interview, 30.5.13 )
0 comments:
Post a Comment