এটা অনেকেই স্বীকার করবেন যে সাম্প্রতিক সময়ে চলমান রাজনীতিতে মূল সমস্যা একটিই- আর তা হচ্ছে, নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে দ্রুত একটি সংলাপের আহ্বান, ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের তৎপরতা ইত্যাদি মিলিয়ে এমন একটা ধারণার জন্ম হয়েছে যে আমাদের রাজনৈতিক সমস্যা আমরা নিজেরা সমাধান করতে পারছি না। সেই স্যার নিনিয়ান স্টিফেন এসেছিলেন ১৯৯৪ সালে। তখনো তিনি পারেননি। এবার এলেন তারানকো। তার পরও জট খুলছে না। একটি বিষয়কে কেন্দ্র করেই জটটি আটকে আছে। 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন'- এই বক্তব্য থেকে আওয়ামী লীগ সরে গেছে, এটা আমার কাছে মনে হয়নি। যদিও বলা হচ্ছে, সৈয়দ আশরাফের সর্বশেষ বক্তব্যে সংলাপে 'এই বিষয়টি' নির্ধারণের যে কথা উল্লেখ রয়েছে, সেখানেও রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। সৈয়দ আশরাফ স্পষ্ট করে বলেননি শেখ হাসিনা এই দায়িত্বটি নেবেন না। তিনি যদি এ কথাটা বলতেন, তাহলে জট খুলত। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও কোথাও বলেননি তিনি এই দায়িত্ব নেবেন না। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংলাপে বসার জন্য বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব একটি চিঠি দিয়ে এবং তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী মহাসচিব তারানকোকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছিলেন। তাঁরা বারবার বলছেন সংলাপ হোক। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফেরার সম্ভাবনা কতটুকু? সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন (আমাদের অর্থনীত, ২১ মে, ২০১৩)। তাতে তিনি বলেছেন, এটা সম্ভব যদি রাজনীতিবিদরা এক হতে পারেন। যদিও তিনি এটা স্পষ্ট করেছেন যে ১. নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার হতে পারে, ২. অনির্বাচিতদের নিয়ে এ সরকার করা যাবে না, ৩. বিচারপতি হক নিজে কোনো দায়িত্ব নেবেন না, ৪. পূর্ণাঙ্গ রায়ে (ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলসংক্রান্ত) আরো দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার কথা বলা হয়েছে, ৫. গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজনীতিতে সুস্থিরতা প্রয়োজন। বলা প্রয়োজন, বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) বাতিল ঘোষণা করেছিল। এ ঘোষণা বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দেয়। এখন বিচারপতি হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় অনুসরণ করেই রাজনীতিতে সুস্থিরতার স্বার্থে একটা সমঝোতা প্রয়োজন। দেখা যাবে, বিএনপি 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার'-এর দাবি থেকে অনেক সরে এসেছে। বিএনপি চায়, একটি দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার। এ ক্ষেত্রে মাননীয় রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বাধীন একটি সরকার সব সমস্যার সমাধান করতে পারেন। যদিও আমাদের সংবিধানে রাষ্ট্রপতির এ ধরনের 'কিছু করার' কোনো সুযোগ নেই। সংবিধানের চতুর্থ ভাগে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা ও করণীয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ করা ছাড়া তাঁর কোনো ভূমিকা নেই। ওপরে উল্লিখিত দুটি দায়িত্ব ব্যতিরেকে 'রাষ্ট্রপতি তাহার অন্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করিবেন।' এমনকি ৪৮(৫) ধারা অনুসরণ করেও রাষ্ট্রপতিকে এই দায়িত্বটি দেওয়া যায়। এ ধারায় বলা হয়েছে, 'রাষ্ট্রপতি অনুরোধ করিলে যেকোনো বিষয় মন্ত্রিসভায় বিবেচনার জন্য (প্রধানমন্ত্রী) পেশ করিবেন।' এ ক্ষেত্রে সুস্পষ্টভাবে একটি সম্ভাবনার জন্ম হয়েছে। এখানে দুটি জিনিস লক্ষণীয়। এক. প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শের কথা বলা হয়েছে। দুই. রাষ্ট্রপতি অনুরোধ করিলেও কথাটি লেখা আছে। অর্থাৎ এখানে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করতে পারেন একটা সংলাপ করার জন্য। অথবা 'পরিস্থিতির গুরুত্ব' অনুধাবন করে রাষ্ট্রপতি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন যে তিনি সংকট সমাধানে একটি উদ্যোগ নিতে চান। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করিয়ে নিতে পারেন। সে জন্যই প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত। তিনি যদি প্রকাশ্যে বলেন, তিনি নির্বাচনকালীন অথবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হবেন না, তাতে সংকটের অনেক সমাধান হয়ে যায়। তিনি যদি আওয়ামী লীগের প্রধান হয়েই নির্বাচনে অংশ নেন, আমার বিশ্বাস, এতে তাঁর জনপ্রিয়তা কিছুটা হলেও বাড়বে। নানা কারণে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। পদ্মা সেতু, হলমার্ক, ডেসটিনি কেলেঙ্কারি, ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, অর্থনীতিতে মন্দাভাব ইত্যাদি কারণে দেশে সুশাসনের একটা অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে মহাজোট সরকারের অনেক কর্মকাণ্ড বিতর্কের বাইরে ছিল না। জনগণের কাছেই বিবেচনার ভার ছেড়ে দেওয়া উচিত- তারা আওয়ামী লীগ, তথা মহাজোট সরকারের কর্মকাণ্ড কতটুকু সমর্থন করে। তাই প্রস্তাবটি আসা উচিত সরকারের কাছ থেকে। অতীতে আমরা দেখেছি, রাষ্ট্রপতির ডাকে বিএনপি সাড়া দিয়েছিল। কিভাবে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা যায়, সে ব্যাপারে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন। আর চূড়ান্ত পর্যায়ে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত বিএনপি মেনে নিয়েছিল। আজ সে রকম একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রপতির একটি সংলাপে যে বিএনপি অংশ নেবে, এ বিষয়টিও বিএনপি সংসদের বাজেট অধিবেশনে অংশ নিয়ে জানাতে পারে। দেশ আজ এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। রাজনীতিবিদদের দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে হবে। রাজনীতি হচ্ছে 'অ্যান আর্ট অব কমপ্রোমাইজ'। কখনোসখনো এমন সব সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যা মনে হতে পারে দলের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেল; কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের কারণে অদূর-ভবিষ্যতে দলের জন্য মঙ্গলও ডেকে আনতে পারে। সরকার একটি 'পজিটিভ' সিদ্ধান্ত নিক। মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হোক সমাধানের একটি পথ বের করার। রাষ্ট্রপতি দলীয়ভাবে নির্বাচিত হন বটে; কিন্তু এখন দলের উর্ধ্বে তিনি। রাষ্ট্রের অভিভাবক। অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের দিকে তাই তাকিয়ে আছে সারা জাতি।Daily KALERKONTHO30.05.13
নির্বাচনকালীন সরকার
15:21
No comments
এটা অনেকেই স্বীকার করবেন যে সাম্প্রতিক সময়ে চলমান রাজনীতিতে মূল সমস্যা একটিই- আর তা হচ্ছে, নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে দ্রুত একটি সংলাপের আহ্বান, ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের তৎপরতা ইত্যাদি মিলিয়ে এমন একটা ধারণার জন্ম হয়েছে যে আমাদের রাজনৈতিক সমস্যা আমরা নিজেরা সমাধান করতে পারছি না। সেই স্যার নিনিয়ান স্টিফেন এসেছিলেন ১৯৯৪ সালে। তখনো তিনি পারেননি। এবার এলেন তারানকো। তার পরও জট খুলছে না। একটি বিষয়কে কেন্দ্র করেই জটটি আটকে আছে। 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন'- এই বক্তব্য থেকে আওয়ামী লীগ সরে গেছে, এটা আমার কাছে মনে হয়নি। যদিও বলা হচ্ছে, সৈয়দ আশরাফের সর্বশেষ বক্তব্যে সংলাপে 'এই বিষয়টি' নির্ধারণের যে কথা উল্লেখ রয়েছে, সেখানেও রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। সৈয়দ আশরাফ স্পষ্ট করে বলেননি শেখ হাসিনা এই দায়িত্বটি নেবেন না। তিনি যদি এ কথাটা বলতেন, তাহলে জট খুলত। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও কোথাও বলেননি তিনি এই দায়িত্ব নেবেন না। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংলাপে বসার জন্য বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব একটি চিঠি দিয়ে এবং তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী মহাসচিব তারানকোকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছিলেন। তাঁরা বারবার বলছেন সংলাপ হোক। এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ফেরার সম্ভাবনা কতটুকু? সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন (আমাদের অর্থনীত, ২১ মে, ২০১৩)। তাতে তিনি বলেছেন, এটা সম্ভব যদি রাজনীতিবিদরা এক হতে পারেন। যদিও তিনি এটা স্পষ্ট করেছেন যে ১. নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার হতে পারে, ২. অনির্বাচিতদের নিয়ে এ সরকার করা যাবে না, ৩. বিচারপতি হক নিজে কোনো দায়িত্ব নেবেন না, ৪. পূর্ণাঙ্গ রায়ে (ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলসংক্রান্ত) আরো দুই টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার কথা বলা হয়েছে, ৫. গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজনীতিতে সুস্থিরতা প্রয়োজন। বলা প্রয়োজন, বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকার) বাতিল ঘোষণা করেছিল। এ ঘোষণা বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দেয়। এখন বিচারপতি হকের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় অনুসরণ করেই রাজনীতিতে সুস্থিরতার স্বার্থে একটা সমঝোতা প্রয়োজন। দেখা যাবে, বিএনপি 'তত্ত্বাবধায়ক সরকার'-এর দাবি থেকে অনেক সরে এসেছে। বিএনপি চায়, একটি দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার। এ ক্ষেত্রে মাননীয় রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বাধীন একটি সরকার সব সমস্যার সমাধান করতে পারেন। যদিও আমাদের সংবিধানে রাষ্ট্রপতির এ ধরনের 'কিছু করার' কোনো সুযোগ নেই। সংবিধানের চতুর্থ ভাগে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা ও করণীয় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ করা ছাড়া তাঁর কোনো ভূমিকা নেই। ওপরে উল্লিখিত দুটি দায়িত্ব ব্যতিরেকে 'রাষ্ট্রপতি তাহার অন্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করিবেন।' এমনকি ৪৮(৫) ধারা অনুসরণ করেও রাষ্ট্রপতিকে এই দায়িত্বটি দেওয়া যায়। এ ধারায় বলা হয়েছে, 'রাষ্ট্রপতি অনুরোধ করিলে যেকোনো বিষয় মন্ত্রিসভায় বিবেচনার জন্য (প্রধানমন্ত্রী) পেশ করিবেন।' এ ক্ষেত্রে সুস্পষ্টভাবে একটি সম্ভাবনার জন্ম হয়েছে। এখানে দুটি জিনিস লক্ষণীয়। এক. প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শের কথা বলা হয়েছে। দুই. রাষ্ট্রপতি অনুরোধ করিলেও কথাটি লেখা আছে। অর্থাৎ এখানে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করতে পারেন একটা সংলাপ করার জন্য। অথবা 'পরিস্থিতির গুরুত্ব' অনুধাবন করে রাষ্ট্রপতি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারেন যে তিনি সংকট সমাধানে একটি উদ্যোগ নিতে চান। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করিয়ে নিতে পারেন। সে জন্যই প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত। তিনি যদি প্রকাশ্যে বলেন, তিনি নির্বাচনকালীন অথবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হবেন না, তাতে সংকটের অনেক সমাধান হয়ে যায়। তিনি যদি আওয়ামী লীগের প্রধান হয়েই নির্বাচনে অংশ নেন, আমার বিশ্বাস, এতে তাঁর জনপ্রিয়তা কিছুটা হলেও বাড়বে। নানা কারণে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। পদ্মা সেতু, হলমার্ক, ডেসটিনি কেলেঙ্কারি, ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, অর্থনীতিতে মন্দাভাব ইত্যাদি কারণে দেশে সুশাসনের একটা অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এতে মহাজোট সরকারের অনেক কর্মকাণ্ড বিতর্কের বাইরে ছিল না। জনগণের কাছেই বিবেচনার ভার ছেড়ে দেওয়া উচিত- তারা আওয়ামী লীগ, তথা মহাজোট সরকারের কর্মকাণ্ড কতটুকু সমর্থন করে। তাই প্রস্তাবটি আসা উচিত সরকারের কাছ থেকে। অতীতে আমরা দেখেছি, রাষ্ট্রপতির ডাকে বিএনপি সাড়া দিয়েছিল। কিভাবে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা যায়, সে ব্যাপারে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন। আর চূড়ান্ত পর্যায়ে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত বিএনপি মেনে নিয়েছিল। আজ সে রকম একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রপতির একটি সংলাপে যে বিএনপি অংশ নেবে, এ বিষয়টিও বিএনপি সংসদের বাজেট অধিবেশনে অংশ নিয়ে জানাতে পারে। দেশ আজ এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি। রাজনীতিবিদদের দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে হবে। রাজনীতি হচ্ছে 'অ্যান আর্ট অব কমপ্রোমাইজ'। কখনোসখনো এমন সব সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যা মনে হতে পারে দলের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেল; কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের কারণে অদূর-ভবিষ্যতে দলের জন্য মঙ্গলও ডেকে আনতে পারে। সরকার একটি 'পজিটিভ' সিদ্ধান্ত নিক। মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হোক সমাধানের একটি পথ বের করার। রাষ্ট্রপতি দলীয়ভাবে নির্বাচিত হন বটে; কিন্তু এখন দলের উর্ধ্বে তিনি। রাষ্ট্রের অভিভাবক। অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদের দিকে তাই তাকিয়ে আছে সারা জাতি।Daily KALERKONTHO30.05.13
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment